হনুমান চালিশা পাঠের নিয়ম ও তাৎক্ষনিক অলৌকিক উপকারিতা
জয় হনুমান। আপনে কি মহাবিপদে আছেন? আপনে কি সমস্যায় জর্জিত? তাহলে হনুমান চালিশা আপনার জন্য। আপনে নিয়ম করে প্রতিদিন হনুমান চালিশা মন্ত্র ভক্তি ভাবে পাঠ করেন,
তাহলে আপনে সমস্থ বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন। কি বিশ্বাস করছেন না? এক বার বিশ্বাস করে সকাল সন্ধা হনুমান চারিশা পাঠ করেন, দিন দিন আপনার উন্নতি হবে। কোন শত্রু আপনাকে বিপদে ফেলতে পাবে না।
যারা বিশ্বাস করে শ্রী হনুমান চালিশা ভক্তি ভরে পাঠ করেছেন এক মাত্র তারাই এর মর্ম বুঝেছেন। সম্পূর্ণ হনুমান চালিশা মন্ত্রটি স্নান করে ভক্তি ভরে পড়বে। মনে বিশ্বাস এবং ভক্তি ভাব থাকলে ভগবান অবশ্যয় আপনার সহায় হবেন। আপনার সকল বিপদ দূর করে দিবেন। হনুমান চালিশা পাট করার নিয়ম আছে। সেই নিযম গুলো মেন অনুশিলন করেন আশা করি শিঘ্রয় আপনে সু সংবাদ পেয়ে যাবেন।
হনুমান চালিশা মন্ত্র পাঠ করার সময় এক অদ্ভুত ধরনের শক্তি অনুভুতি হবে। আপনার চারপাশে অলৌকিক শক্তি কাজ করবে। নেগেটিভ শক্তি দূর করে দিবে এবং পজেটিভ আরো বেশি শক্তিশালী হবে।
হনুমান চালিশা পাঠের উপকারিতা
হনুমান চালিসা পাঠের ফল অতিব সুন্দর হয় এবং বাস্তবিক ফলপ্রসু হয়। হনুমান চালিসা পাঠের উপকারিতা অনেক যেমন একমনে এক চিত্তে স্নান করার পর বা শুদ্ধ হয়ে শনিবার ও মঙ্গলবার হনুমান চালিসা বাংলা ভাষায় বা হনুমান চালিসা মন্ত্র পাঠ সংস্কৃত বা হনুমান চালিসা হিন্দি ভাষা, যে কোন ভাষায় পাঠ করলে আপনার মন শান্ত হবে, যে কোন বিপদ দূর হবে, আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। ভগবান আপনাকে কোলে আগলিয়ে রাখবে। হনুমান চালিসা পাঠ করলে বুদ্ধি, ধন, যশ, শক্তি ইত্যাদি বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয় প্রতিদিন ভক্তি ভরে সকালে অথবা শোয়ার সময় জয় হনুমান চালিসা পাঠ করলে পরম আত্ন তৃপ্তি পাবেন। মনে শান্তি ফিরে আসবে।
হনুমান চালিসা পাঠের নিয়ম
হনুমান চালিসা তিন বেলায় পাঠ কর করতে পারবেন। হনুমান চালিসা পাঠের নিয়ম হল সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরে এক মনে এক চিত্তে এক জায়গাতে স্থির হয়ে বসে মনে মনে হনুমান চালিসা মন্ত্র পাঠ করবেন। মন্ত্র পাঠ করা অবস্থায় আপনে নিজেই অনুভব করতে পারবেন। শরীরের মধ্যে এক অন্য ধরনের শক্তি কাজ করছে। যেন মনে হবে স্বয়ং ভগবান মাথায় হাত রেখে আর্শিবাদ করছে।
মনে আসবে শান্তি, বিপদ দূরে পালাবে, শত্রু আপন হয়ে যাবে। আপনে যদি মনে করেন প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও সন্ধায় পাট করতে পারেন। মনে রোখবেন অবশ্যয় শুদ্দ হয়ে পাঠ করবেন।
হনুমান চালিসা রাতে পাঠ করলে কি হয়
আপনে যদি রাতে হনুমান চালিসা এক চিত্তে পাঠ করেন তা হলে মনে শান্তি আসবে। মন ধীরস্থির হবে, রাগ দূরভিত হবে। মনে প্রেম উদয় হবে। আপনার চারপাশ থেকে অপশক্তি দূর হবে। অভাব বা দারিদ্রতা দূর হবে। তাই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে হনুমান চালিসা মন্ত্র পাঠ করে ঘুমানো উচিত।
হনুমান চালিসা পাঠ করলে কি হয়
হনুমান চালিসা পাঠ করলে অলেীকিক ক্ষমার অধিকারী হবেন। শত্রু আপনার বন্ধু হয়ে যাবে। আপনাকে সবাই ভাল বাসবে। মনে শান্তি আসবে। চিন্তা দূর হবে। শরীর সুস্ধ থাকবে। রোগ দূরে পালাবে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভাল বাসার বন্ধন শক্ত হবে। আমি মনে করি যাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল মহব্বত নেই তারা হনুমান চালিসা পাঠ করতে পরেন। যে কোন ধর্মের লোক এই মহা মন্ত্র পাঠ করতে পারবেন। যদি বিশ্বাস নিয়ে শুদ্ধ চিত্তে হনুমান চালিসা মহা মন্ত্র পাঠ করতে পারেন, তাহলে আপনাদের স্বfমী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসার উদয় হবে। মনে হবে নতুন জীবন ফিরে পেলেন।
শেষ কথ
অবশেষে বলা যায় হুমান চালিশা আমাদের জীবনে এক মহা মন্ত্র। কেউ অবহেলা করবেন না। মনে প্রানে বিশ্বাস করে হনুমান চালিশা মন্ত্র চের্চা করিবেন। মন প্রান সবিই ভাল থাকেবে।
আপনার জীবন সুন্দর হউক। আপনের ভাল থাকেন সুন্থ থাকেন জয় হনুমান।
কিছু প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন: পঞ্চমুখী হনুমান চালিশা মন্ত্র
উত্তর: পঞ্চমুখী হনুমান চালিশা মন্ত্রটি হল - ওঁ নমো হনুমতে রুদ্রাবতারায় সর্ব শত্রু সংহারনায় সর্বরোগহরায় সর্ব বশিকরণায় রামদূতায় স্বাহা।
প্রশ্ন: রেহনুমা নামের অর্থ কি?
উত্তর: রেহনুমা নামের অর্থ হল পথ পদর্শক, গাইডলাইন, দিক নিদর্শন কারী।
প্রশ্ন: হনুমান বীজ মন্ত্র
উত্তর: হনুমান বীজ মন্ত্রটি হল-ওম হং হুমন্তে নম: । ওম হং হনুমতে রুদ্রাত্নতায় হুং ফট।
প্রশ্ন: স্বপ্নে হনুমান দেখলে কি হয়?
উত্তর: স্বপ্ন শাস্ত্র মতে স্বপ্নে হনুমাকে দেখলে তাহা শুভ হবে। আপনার উপর আর্শিবাদ রহিয়াছে। আপনার উন্নতির লক্ষন।
প্রশ্ন: হনুমান এর ইংরেজী কি?
উত্তর: হনুমান এর ইংরেজী হল Hanuman.