পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা বাংলাদেশ সহ

 পাখিই হচ্ছে এক মাত্র প্রাণী যা পরিযানে অংশগ্রহন করে সবচাইতে বেশি। দশ হাজার প্রজাতি পাখির মধ্যে প্রাই ১৮৫৫ প্রজাতি পাখি ৯৯% পাখি পরিযানে অংশ গ্রহন করে। বংশ বিস্তার এবং খাদ্য সংগ্রহের জন্য পাখিরা স্থান পরিবর্তন করে। এই ধরনের পাখিরা এক বছর পরপর বা কোন নির্দিষ্ট ঋতুতে কমপক্ষে দুটি অঞ্চলের মধ্যে

পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা

যাতাযাত করে। ঋতুর পরিবর্তন ঘটলে পাখিরা নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য কোন এলাকায় চলে যায়। আবার নির্দিষ্ট সময় পর নিজ এলকায় বা নিচ বাসভবনে ফিরে আসে। শুধু একবার না প্রতি বছর তারা এই রকম পরিবর্তন ঘটায়। পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা অবশ্যয় নিচে আলোচনা করব। ধর্য সহ কারে পড়তে থাকেন।

পরিযায়ী পাখি কাকে বলে

যে সকল পাখি প্রতিবছর বা নির্দিষ্ট কোন সময়ে বা নির্দিষ্ট কোন ঋতুতে কমপক্ষে দুটি স্থানে আসা যাওয়া করে। এই আসা যাওয়াকে বলা হয় পরিযান। আর যে সকল পাখি পরিযানে অংশগ্রহন করে তাকে পরিযায়ী পাখি বলে নিজেদের বংশ বিস্তার এবং খাদ্য সহজ লভ্যতার জন্য এমটা করে থাকে। এই সকল পাখি প্রতি বছর পরিযানে অংশ গ্রহন করে। পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা নিচে প্রকাশ করা হল


পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা

বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখির মধ্যে কিছু সংখ্যক পরিযায়ী পাখিদের নাম প্রকাশ করলাম। 


১) চখাচখি: কোন কোন এলাকায় চকাচকি বা খয়রা চখাচকি নামে ডাকে। এই পাখি অ্যানাটিডি গোত্রের অন্তর্গত। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Tadorna ferruginea. চখাচখি মূলত দুটি পাখির জুটিকে বুঝানো হয়েছে। এরা সবসময় জুটি অবস্থায় থাকে। 


২) চাতক: চাতক পাখি কুকুলিডি গোত্রের অন্তর্গত। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Clamator jacobinus. বাংলাদেশে চাতক পাখিকে পাপিয়া পাখি নামে ডাকে। বাংলাদেম, ভরত, আফ্রিকা ও দক্ষিন এশিয়াতে এই পাখি দেখা যায়। 


৩) চিত্রা শালিক: এই পাখির অপর নাম পাতি কাটশালিক। এই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হল Common starling. চিত্রা শালিককে গায়ক পাখিও বলা হয়। এই পাখির গায়ের রং কালো কিন্তু অন্য ঋতুতে কিছু কিছূ পাখির রং সাদও হয়। তবে বাচ্চা পাখি বাদামী বর্ণের মত লাগে।


৪) চিত্রিত পি-উ: স্কলোপ্যাসিডি গোত্রের অন্তর্গত। এই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হল Tringa erythropus. বাংলাদেশ, ভারত, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও অফ্রিকাতে এই পাখি দেখা যায়। বুক ও পেট সাদা রং এর হয় ও কপাল মাথ ও ঘাড় ছাই রং এর এবং ঠোট লাল ও পা হলুদ হয়ে থাকে। 


৫) ধলাটুপি পায়রা: কলাম্বিডি পরিবারের সদস্য। এই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হল Columba punicea. এই পাখির বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ হল বেগুনি পায়রা। 


৬) নিশি বক: মাঝারি আকৃতির দেখতে খুব সুন্দর হয়ে থাকে। আরডেইডি গোত্রের অন্তর্গত। ইউরেশিয়া, আমেরিকা, আফ্রিকা দেশে বাসস্থান। এদের গয়ের রং বুক ও পিঠ কালো এবং পেট সাদা বর্ণের। পা কমলা হলুদ হয়। 


৭) লাল ঘুঘু: কলুম্বিডি গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভূটান, শ্রলঙ্কা, পাকিস্থান, মায়ানমার, চিন, ইন্দোনেশিয়া, জাপান সহ ইত্যাদি দেশে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হল ‍Streptopelia tranquebarica. এই পাখির উৎস সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হতে পারেনি।


৮) আব্দিমের মানিক জোড়: এর অপর নাম সাদা ঠুটি মানিকজোড়। সাইকোনিডি হল এই পাখির গোত্রের নাম। এই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হল Ciconia abdimii. এই পাখিটি আফ্রিকা অঞ্চলে দেখ যায়। এর আকার ৭৩ সেমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। 


৯) পাতি তিলিহাঁস: এর অপর নাম পাতারি হাঁস। বাংলাদেশ, ভারত, ইউরোপ, আমেরিকা, অফ্রিকাি ইত্যাদি অঞ্চলে দেখ যায।  এই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হল Anas crecca. এবং অ্যানাটিডিস গোত্রের অন্তর্গত। পৃথিবীতে প্রায় দুই কোট চৌষট্টি লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুরে অবস্তিত।


১০) ফুলুরি হাঁস: অ্যানাটিডি গোত্রের বা পরিবারের অন্তর্গত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Anas falcata. বাংলাদেশ, ভারত ও এশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় এই পাখি দেখা যায়। এই পাখি দলবদ্ধ ভাবে বসবাস করে। 


১১) রাঙ্গামুড়ি: অ্যানাটিডি গোত্রের বা পরিবারের অন্তর্গত। এই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হল Netta rufina. লাল ঝুটি ভুতি হাস নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ ও ভারতে বেশি দেখা যায়। তবে ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকাতেও এদের দেখা যায়।


পরিযায়ী পাখির নাম

১২) শাহ চখা: অ্যানাটিডি গোত্রের বা পরিবারের অন্তর্গত। এই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হল Tadorna tadorna. পাতি চকাচকি বা সাচকা নামেও পরিচিত। এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকাতে বেশি দেখ যায। পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ইরান, ইরাক, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া তিব্বত ও অন্যান্য দেশে এদের অবস্থান রয়েছে।


১৩) গিরিয়া হাঁস: এর অপর নাম জিরিয়া হাঁস। গিরিয়া হাঁস এর গোত্রের নাম হল অ্যানাটিডি। বৈজ্ঞানিক নাম হল Anas querquedula. বাংলাদেশ ও ভারত দেশে বেশি বসবাস। এছাড়াও এশিয়া, ইউরোপ,উত্তর আমেরিকা, ওশেনিয়া ও  আফ্রিকা এবং অন্যান্য দেশে এদের বিচরন রয়েছে। 

১৪) দাগি রাজহাঁস: এই পাখিটি আকারে অনেক বড় হয়ে থাকে। দাগি রাজহাঁসের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ হল ভারতীয় রাজহাঁস। অ্যানাটিডি হল গোত্র বা পরিবারের নাম। দাগি রাজহাঁস এর বৈজ্ঞানিক নাম হল  Anser indicus. ভারত ও বাংলাদেশে এর অবস্থান বেশি দেখা যায়। 


১৫) দেশী মেটেহাঁস: দেশী মেটেহাঁস বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশে এদের বসবাস রয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Anas popcilorhyncha. এবং এরা অ্যানাটিডি গোত্রের অধিকারী।


১৬) হ্যারিয়ার পাখি: এই পাখি বাংলাদেশ ও ভারতে বসবাস লক্ষ করা যায়। এই পাকি আকারে ছোট এবং বিবিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। বিশ্বে মোট ১৩ প্রজাতির জাত রয়েছে। 


১৭) ডুবরি পাখি: পোডিসিপেডিডি গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত। এই পাখি ছোট আকৃতির। ডুবরির বৈজ্ঞানিক নাম Achybaptus ruficollis. এই পাখি দক্ষতার সাথে পানিতে সাঁতার ও ডুব দেয়। 


১৮) পান্না কোকিল: বাংলাদেশ ও ভারতে এদের বিচরন বেশি লক্ষ করা যায়। তবে অন্যান্য দেশেও এদের বসবাস রয়েছে। পান্না কোকিল এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Chrysococcyx maculatus. এবং কুকুলিডি গোত্রের অন্তভূক্ত। এরা লম্বায় ১৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। 


১৯) পিয়াং হাঁস: বাংলাদেশ ও ভারতে সচরাচর বেশি দেখা যায়। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Anas strepera. গোত্র বা পরিবারের নাম হল অ্যানাটিডি। পৃথিবীতে প্রায় ১ কোট ৭৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুরে এদের অবস্থান দেখা যায়। 


কিছু পরিযায়ী পাখির নাম

২০) ইউরেশীয় সিঁথিহাঁস: অ্যানাটিডি গোত্রের অন্তর্গত। এর  বৈজ্ঞানিক নাম Anas penelope. এই জাতীয পাখি বাংলাদেশ ও ভারতে বেশী দেখ যায়। তবে ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, এশিয়ার বিভিন্ন এলাকাতে দেখা যায়। 


২১) বড় সরালী: ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্য আমেরিকা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে, চিলি, পেরু, দক্ষিন আমেরিকা, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা ইত্যাদি দেশ জুরে রয়েছে। এরা অ্যানাটিডি গোত্রের বা পরিবারের অন্তভূক্ত। েএর বৈজ্ঞানিক নাম হল Dendrocygna bicolo.


২২) বালু নাকুটি: এর অপর নাম নাককাটি। বালু নাকুটি গোত্রের নাম সোয়ালো। এর বৈজ্ঞানিক নাম Riparia riparia. ইউরোপ দেশ গুলোতে দেখা যায়। শীত কালে আফ্রিকা ও দক্ষিন আমেরিকাতে চলে আসে। 


২৩) কালাপাশ চুটকি: শীতকালে ভারত, বাংলাদেশ, ভূটান, মেয়ানমার, চাপান চীন ও তিব্বত দেশে এরা বিচরন করে। মাসসিকাপিডি গোত্রের অন্তভূক্ত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Muscicapa fuliginosa.


২৪) কালো মানিকজোড়: সাইকোনিডি গোত্রের বা পরিবারের অন্তর্গত। এই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম Ciconia ciconia. সারা পৃথিবীতে ১ কোট ৩১ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুরে এরদর আবাম স্থল। এই পাখিটি বাংলাদেশ ও ভারত এলাকাতে বেশি দেখা যায়। তবে এশিয়া, আফ্রিকা দেশেও দেখা যায়। 


২৫) কালো হাঁস: এর অপর নাম ঝুঁটি হাস। কালো হাঁসের বৈজ্ঞানিক নাম হল Aythya fuligula.এর গোত্র বা পরিবারের নাম হল অ্যানাটিডি। এদের আবাস স্তল হল ২ কোট ৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। ইউরেশিয়া ও আফ্রিকাতে কালো হাঁস বসবাস করে। একটি পূর্ণবয়স্ক কালো হাস এর ওজন ৭০০ গ্রাম থেকে ১.১ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।


পরিযায়ী পাখির তালিকা

২৬) কালোঘাড় সাড়স: এই পাখিটি ভারত, চিন, ভূটান ও ভিয়েতনাম দেশে দেখা যায়। এটি দূর্লভ পাখি। কালোঘড় সাড়স পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হল Grus nigricollis এবং গরুইুড গোত্রের অন্তভূক্ত। পৃথিবীতে প্রায় ৬৪ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এরা বনবাস করে। 


২੧) কুড়া: বাংলাদেশে এই পাখিকে কুরর বা কুররা বলে ডাকে। বাংলদেশে প্রাই ৫০ থেকে ১০০ টি কুড়া পাখি রয়েছে। অ্যাক্সিপিট্রিডি গোত্রের বা পরিবারের অন্তভূক্ত। এই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম Haliaeetus leucoryphus.এই পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। পৃথিবীতে প্রাই ৫২ লক্ষ ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে এদের বসত স্থল।


২৮) উদয়ী মানিকজোড়: চীন ও রাশিয়াতে এই পাখির আবাস স্থল। উদয়ী মানিকজোড় হল সাইকোনিডি গোত্রের অন্তর্গত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Ciconia boyciana. এই পাখির আকার দৈঘ্য প্রায় ১১০ থেকে ১৫০ সেন্টিমিটার। এর ডানার পরিধি প্রায ৭.৩ ফুট। 


২৯) স্মিউ হাঁস: অ্যানাটিডি গোত্রের অন্তর্গত স্মিউ হাঁস। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mergellus albellus.বাংলাদেশে এই পাখি পরিযায়ী হিসাবে আসে। এদের  আবাস স্থল রাশিয়াতে। এছাড়াও নেপালে, ভারত, চীন, পাকিস্থান ও অন্যান্য দেশে এদের দেখতে পাওয়া যায়।


৩০) সাইবেরিয়ান সারস: এদের গায়ের রং সাধারণত সাদা হয়ে থাকে। সাইবেরিয়ান সারস পাখির বৈজ্ঞানিক নাম Grus leucogeranus এবং গোত্রের নাম গরুইডি। এই পাখি হঠাৎ করেই কমতে শুরু করেছে। এই পাখিটিকে এশিয়া মহদেশে অল্প সংখ্যাক দেখা যায়। 


বাংলাদেশের পরিযায়ী পাখির তালিকা

বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখির নাম নিচে দেওয়া হল

১) লালঝুঁটি ভুতিহাঁস, ২) বেগুনি কালেম, ৩) উত্তরে ল্যাঞ্জ্যাহাঁস, ৪) সিঁথি হাঁস, ৫) মরচে রং ভূতিহাঁস, ৬) পিয়াং হাঁস, ৭) কালো তিতির, ৮) জলার তিতির, ৯) চিনা তিতির, ১০) রাজশকুন, ১১) শাবাজ, ১২) লালবন মোরগ, ১৩) সোনাজঙ্গ, ১৪ জলপিপি, ১৫) কুলাউ, ১৬) হরিয়াল, ১৭) তিলে ময়না, ১৮) কুনচুষী, ১৯) খুরুলে, ২০) ধূসর বটের আরেও উত্যাদি পাকি বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখি হিসাবে আসে। 


পরিযায়ী পাখি কখন আসে

শীতের সময় পরিযায়ী পাখি বেশি আসে। তবে বর্ষার শেষে এবং শীতের আগে থেকেই আসা শূরু করে। এই সব পাখি বাংলাদেশে হাওড়, বিল, সাগড় এলাকায় ও নদী এলাকায় ঘুড়ে বেড়ায়। তখন পরিবেশ টা মূখর হয়ে উঠে। 


অতিথি পাখি পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা

আমাদের বাংলাদেশে যে সকল পরিযায়ী পাখি আসে সেই সকল পাখিকে আমারা অতিথি পাখি বলে থাকি। কিন্তু পরিযায়ী পাখিকে অতিথি পাখি বলা যাবেনা। এরা নির্দিষ্ট সময়ে আসে আবার নির্দিষ্ট সময় পর নিজ দেশে চলে যাবে। তাই এই সকল পাখিকে পরিযায়ী  পাখি বলাই উত্তম হবে। ইতি ম,ধ্যে উপরে পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা প্রকাশ করেছি। 


১০ পরিযায়ী পাখির নাম

দশটি পরিযায়ী পাখির নাম হল……………

চখাচখি

দেশী মেটেহাঁস

হ্যারিয়ার পাখি

ডুবরি পাখি

পান্না কোকিল

পিয়াং হাঁস

দাগি রাজহাঁস

বালু নাকুটি

বড় সরালী

পাতি তিলিহাঁস

পিয়াং হাঁস

কালোঘাড় সাড়স

গিরিয়া হাঁস


শেষে কিছু কথা

আমি চেষ্টা করেছি পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। আপনে নিশ্চয় মনযোগ সহকারে পড়েছেন। আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। 


কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: পরিযায়ী পাখি কখন আসে?

উত্তর: বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখি আসে মূলত বর্ষার শেষের দিক থেকে। শীত কালে বেশি আসে। সেই সময় চাদিকে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়।


প্রশ্ন: পরিযায়ী পাখি কি

উত্তর: যে সকল পাখি প্রতিবছর বা নির্দিষ্ট কোন সময়ে বা নির্দিষ্ট কোন ঋতুতে কমপক্ষে দুটি স্থানে আসা যাওয়া করে। এই আসা যাওয়াকে বলা হয় পরিযান। আর যে সকল পাখি পরিযানে অংশগ্রহন করে তাকে পরিযায়ী পাখি বলে ।


প্রশ্ন: বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস

উত্তর: প্রতি বছর মে ও অক্টবর মাসের দ্বিতীয় শনিবার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। 


প্রশ্ন: পরিযায়ী পাখি কেন আসে

উত্তর: বংশ বিস্তারের জন্য এবং নতুন খাদ্য যেমন পোকামাকড় ও উদ্ভিদ খাওয়ার লোভে দল বেধে আসে। 


প্রশ্ন: পরিযায়ী পাখি বছরের কোন সময় দেখা যায়?

উত্তর: বর্ষার শেষের দিক থেকে আসা শুরু করে এবং মার্চ মাসের শেষের দিকে পরিযায়ী পাথি যাওয়া শুরু করে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url