মিশরের পিরামিড এর ইতিহাস ও নতুন রহস্য জানেন কি

 আশ্চর্য ও রহস্যময় পিরামিড মিশরের পিরামিড। পিরামিডের নাম শুনলেই যেন গা ছম ছম করে।  মিশরের পিরামিড সম্পর্কে আমারা কম বেশি জানি। কিন্তু আসল রহস্য জানি কি? মিশরের পিরামিড এর ইতিহাস জানার পর ও যেন অজানাই থেকে যায়। এই মিশরের পিরামিড সম্পর্কে অনেক গল্প, সিনেমা, মুভি আরও অনেক কিছু নির্মিত হয়েছে। যত দিন যায় ততই একটি করে রহস্য বের হতেই থাকে। 

মিশরের পিরামিড এর ইতিহাস

বেশির ভাগ পিরামিড মিশরে অসস্থিত। ২০০৮ সাল পর্যন্ত মিশরে ১৩৮ পিরামিড আবিষ্কৃত হয়েছে। গবেষনায়

দেখা গেছে সব গুলই প্রাচীন কালের এবং ফ্যারাওদের সময়। পিরামিড মূলত সমাধি স্থল বা কবর স্থান। নিচে মিশরের পিরামিডের কাহিনী তুলে ধরা হল


মিশরের পিরামিডের কাহিনী

মিশরের পিরামিড নিয়ে আমাদের জল্পনা কল্পনা যেন শেষ নেই। পিরামিড কেন তৈরি করা হয়েছিল? তখন এত ভারি ভারি পাথর কি ভাবে উপরে টেনে তুলত? সেই পাথর গুলো কোথা থেকে আনত?

মিশরের পিরামিড সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছু বলে গেছে। 

মিশরের পিরামিড কি

মিশরের পিরামিড হল জ্যামিতিক ত্রিভূজাকার এবং একটি বিন্দুতে মিলিত হয়। বহুভুজাকৃতি মাটির উপর অবস্থিত ঘন বস্তুর একটি শীর্ষবিন্দু এবং এর পাশ্বতল গুলো ত্রিভূজাকার আকারে থাকে তাকে মিশরের পিরামিড বলে। একটি পিরামিডের মাটি সহ চারটি তল থাকে। মিশরের পিরামিড এমন ভাবে জ্যামিতিক আকারে ডিজাইন করা হয়েছে যেন আতনকেন্দ্র শীর্ষক হইতে এর লম্বের দূরত্ব চার ভাগের এক ভাগ।


মিশরের পিরামিড কি ভাবে তৈরি হয়েছে

 মিশরের পিরামিড তৈরির রহস্য আজও এর রহস্য ভেদ করতে পারেনি। মিশরের পিরামিড যখন তৈরি হয়েছে তখন বিজ্ঞানের কোন ছেঁয়াই ছিল না। এত ভারি ভারি পাথর খন্ড কি ভাবে এত উচ্চতায় নিয়ে গেল। পাথর কোথায় থেকে নিয়ে আসল তার কোন ধারনায় খুঁজে  বের করতে পারে নি। 


মিশরের পিরামিড এমন টেকনোলজিতে তৈরি করা হয়েছে তা তাদের নির্মান কৌশল দেখলেই বোঝা যায়। এক একটা পাথর খন্ড এর ওজন ছিল  ২৭০০ থেকে ੧০০০০ কেজি পর্যন্ত। তালে প্রশ্ন হল ৪৫০০  বছর আগে এত ওজনের পাথর খন্ড ৪৮১ ফুট উচ্চতায় কি ভাবে ওঠাল। তাহলে কি বোঝ যায় না বর্তমান আধুনিক সমাজের চাইতে তারা অনেক গুন এগিয়ে ছিল? বর্তমানে ভারি কারে যে সকল যন্ত্র ব্যবহার হয় সে গুলি সর্বইচ্চ ২০০০০ কেজি ভার তুলতে সক্ষম। 


অথচ সেই সময় পিরামিড তৈরিতে ২৩ লক্ষ পাথর খন্ড বা ব্লগ ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ আজও রহস্য থেকে গেল এত ভারি ভারি পাথর খন্ড ব্যবহার করে কি ভাবে পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল? এখান থেকে আমারা ধারনা করতে পারি তারা নিশ্চয় উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করে পিরামিডের মত আশ্চর্য আরও অনেক কিছূ তৈরি করেছে। 


এই পিরামিড সম্পর্কে অনেক কল্প কাহিনী রয়েছে। অন্য কোন অধ্যায়ে কল্প-কাহিনী সম্পর্কে আলোচনা করব।


তবে একটা বিষয় আমার কাছে সত্য মনে হয়। সেটি হল ওরিযন বেল্ট নক্ষত্র মগুলের কানেকশান। কিছু বিজ্ঞানিরা ধারনা করে যে এলিযেনরা সেই সময় মানুষের সাথে যোগাযোগ ছিল। পিরামিডের উপর যে তিনটি তারার চিহ্ন রয়েছে তা নিশ্চয় এলিয়েনদের সম্পর্ক রয়েছে।


পিরামিড হল ভিন্ন গ্রহের প্রানীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার টাওয়ার। কারন রাতের বেলা তিনটি তারার সাথে ফ্যারাও খুফুর পিরামিডের সংযোগ রয়েছে।


মিশরের পিরামিড কে তৈরি করেছেন

মিশরে প্রাচীন কালে ফিরাউনরা রাজত্ব কালে তাদের সমাধী দেওয়ার জন্য পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল। এখান থেকে বোঝা যায় ফেরাউনরা নিজেদের প্রোযোজনে পিরামিড তৈরি করেছেন।২০০০ সাল পর্যন্ত মিশরে বড় ছোট মিলে মোট ১৩৫ টি পিরামিড আবিষ্কৃত হয়েছে। তার মধ্যে সব চাইতে বড় পিরামিড হল খুফুর বা গিজার পিরামিড।


মিশরের পিরামিডের উচ্চতা কত

২০০০ সাল পর্যন্ত মিশরে ছোট বড় মিলে মোট ১৩৫ টি  পিরামিড আবিষ্কৃত হয়েছ। তার মধ্যে সব চাইতে বড় পিরামিড হল খুফুর বা গিজার পিরামিড। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রাই ২০ বছর। আর শ্যমিক খেটেছিল প্রায় এক লক্ষ বা তার বেশি। এই পিরামিড ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর নির্মিত। যে সকল পাথর খন্ড দিয়ে এই পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল তার ওজন ছিল ৬০ টন এবং দৈঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মত।  খুফুর বা গিজার পিরামিডে উচ্চতা ছিল ৪৮১ ফুট।


মিশরের পিরামিড কোথায় অবস্থিত

মিশরের পিরামিড অধিকাংশয় কায়রো শহরের গিজায় অবস্থিত। সবচাইতে পুরাতন ও প্রাচীন পিরিামিড হল খুফুর বা গিজার পিরামিড। এটি  লিবিয়ার মরুভুমিতে অবস্থিত। নীল নদ থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার এবং কায়রো শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 


মন্তব্য

উপরের মিশরের পিরামিড সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরেছি। মিশরের পিরামিড সম্পর্কে অজানা আজব তথ্য রয়েছে। মিশরের পিরামিড সম্পর্কে আরও তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। আজ আর নয়। আর ও তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। আশা করি এই সকল তথ্য আপনাদের  অনেক উপকারে আসবে। আমার পরবর্তি আলোচনা মিশরের নীলনদ নিয়ে। ধন্যবাদ। 


কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: মিশরের পিরামিড কে তৈরি করেছে

উত্তর: খ্রীষ্টপূর্ব ২৭০০ থেকে ১৭০০ বছর পর্যন্ত মিশরের পিরামিড তৈরি হয়েছিল। ফরাও জোসার ও তার স্থপতি ইমহোটেপ তৃতীয় রাজবংশের সময় প্রথম পিরামিড তৈরি হয়েছিল।


প্রশ্ন: সবচেয়ে বেশি পিরামিড কোন দেশে

উত্তর: সুদানে সবচেয়ে বেশি পিরামিড এর সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রায় ২২০ পিরামিড পাওয়া গেছে।


প্রশ্ন: সবচেয়ে বড় পিরামিডের নাম কি

উত্তর: সবচাইতে পুরাতন ও প্রাচীন পিরিামিড হল খুফুর বা গিজার পিরামিড। এটিই সবচাইতে বড় পিরামিড। এর উচ্চতা ৪৮১ ফিট।


প্রশ্ন: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পিরামিড কোথায় অবস্তিত

উত্তর: পৃথিবীর সবচাইতে বড় পিরামিড মিশরের এল গিজা নামক স্থানে অবস্তিত।


প্রশ্ন: মিশরের সবচেয়ে বড় পিরামিডের উচ্চতা কত

উত্তর: মিশরের সবচেয়ে বড় পিরামিডের উচ্চতা হল  ৪৮১ ফিট। এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর অবস্থিত।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url