পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মসজিদ, জেনে নিন অজানা তথ্য

 প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা হইতো অনেক ছোট মসজিদ সম্পর্কে জেনেছেন এবং পড়েছেন। আজ আমি আপনাদের সামনে এমন একটি মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা করব যা আপনার হইতোবা অজানা রয়েছে। ধারনা করা হয় এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মসজিদ। ছোট মসজিদ সম্পর্কে অনেক গল্প কাহিনী রয়েছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মসজিদ

বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার সান্তাহারের পার্শ্বে তারাপুর গ্রামের অবস্থিত এই মসজিদটি। ধারনা করা হয় এই মসজিদটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরোন হবে। এই ক্ষুদ্র মসজিদের উপর একটি মিনারও রয়েছো মিনারটি এখন ভেঙ্গে গেছে। এই মসজিদ সম্পর্কে রয়েছে অনেক গল্প কাহিনী। 


নানা অবহেলার কারনে মসজিদটি এখন ধ্বংশের মুখে। মসজিদের গায়ে অনেক পরগাছা জন্ম নিয়েছে। এখন আর কেউ এই মসজিদে নামাজ পরেনা। মসজিদটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। মসজিদের দেওয়ালে বিভিন্ন জায়গাতে ফাটল ধরেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মসজিদ গুলোর মধ্যে এই মসজি একটি। 


১৭৭০ থেকে  ১৭৯০ সালের কোন এক সময় এই মসজিদটি তৈরি হয়েছিল। কেন তৈরি হয়েছিল কে তৈরি করেছিল এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।  পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মসজিদ গুলোর মধ্যে তারাপুরে অবস্থিত এই মসজিদের উচ্চতা ১২ ফুট এবং প্রস্থ ৯ ফুট। মসজিদটির মিনারের উচ্চতা ৩.৫ ফিট এবং প্রস্থ ১.৫ ফুট। এই মসজিদে এক সাথে সর্বউচ্চ তিন জন এক সাথে নামাজ পড়তে পারবে। 


এই মসজিদকে নিয়ে কিছূ গল্প কাহিনী আপনাদের শোনাচ্ছি। তারাপুর ছোট মসজিদকে ঘিরে এই সকল  গল্পের কোন সত্যতা নেই। 


অনেক আগের ঘটনা এক সময় জমিদারেরা তারাপুর গ্রামকে শাসন করত। সেই সময় তারা নামে একজন মুসলিম মহিলাকে গ্রামের সবাই মিলে এক ঘড়ে করে রাখে। অথ্যাৎ সকল সুয়োগ সুবিধা থেকে বঞ্চিচ করা হয়েছিল। তখন মহিলাটি নিরুপায় হয়ে নামাজ পড়ার জন্য তিনি এই মসজিদটি বানিয়েছিলেন।


তারাপুরের পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মসজিদকে ঘিরে আর একটি গল্প হল নাটোরে রানী - রানী ভবানীর রাজত্বকালে তারাপুর গ্রামে হিন্দুদের রাজত্ব ছিল। তখন একজন মুসলিস নারী ঐ গ্রামে বসবাস করত। মহিলাটি মুসলিম ধর্মের প্রতি তার ভালবাসা ছিল। তাই তার ধর্মকর্ম পরিচালনার জন্য তারাপুর গ্রামের জমিদারের কাছে মসজিদ তৈরি করার জন্য আবেদন করেছিল। সেই প্রস্থাবে রাজি হয়নি। তখন মহিলাটি রানী ভবানীর কাছে মসজিদ তৈরি করে দেওয়ার জন্য আবেদন করে। রানী ভবানী বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে তাকে একটা মসজিদ তৈরি করে দেয়।


পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মসজিদ গুলোর মধ্যে তারাপুরের ছোট মসজিদকে ঘিরে যতই কাহিনী বা গল্প থাকনা কেন মসজিদটি কিভাবে তৈরি হল বা কেন তৈরি করল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। 


তারাপুরের পাশ্ববর্তী গ্রামে মালশন নামক গ্রামে এই ধরনের একটি মসজিদ আছে। তবে তাপুরের চাইতে একটু বড়। এক সাথে সর্বউচ্চ ৫ জন নামাজ পড়তে পারবে। এই মসজিদের উচ্চতা  প্রস্থ তারাপুরের মসজিদের চাইতে একটু বড়। মসজিদের ধরন একই ক্যাটাগড়ি। 


এই মসজিদ দুটির  নির্মানের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে লোক মুখে যে সকল গল্প শোনা যায় সেই সকল গল্পের কোন ভিত্তি নেই। অবহেলার কারনে মসজিদ দুটি এখন ধ্বংশের পথে। আমি মনে করি এলাকাবাসির সহায়তায় মসজিদ দুটি সংরক্ষনে এগিয়ে আসা উচিত। 


সরম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই ধরনের অজানা সত্য তথ্য নিয়ে আবার হাজির হব। ততক্ষনে আপনে সুস্ত ও ভালো থাকুন। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url