ঠান্ডা পানিতে গোসল করার উপকারিতা
ঠান্ডা পানিতে গোসল করার উপকারিতা সম্পর্কে জানা না থাকলে এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন। আশা করি সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমরা হয়ত জানিনা ঠান্ডাপানি গোসলের জন্য কতটা উপকারী। আমাদের প্রতিদিনের নিয়ম অনুসারে আমরা পানি দিয়ে গোসল দিয়ে থাকি।কিছু নিয়ম মেন গোসল করলে আমরা হইত অনেক কিছু সুবিধা পেতে পারি।
যাদের ঠান্ডা পানি সমস্যা মনে হয় তারা ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা থেকে দূরে থাকবেন। অনেকেরে ঠান্ডা
পানি দিয়ে গোসল করলে সর্দি জ্বর ইত্যাদি হতে পারে। নিচে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হল।
শরীরের তাপমাত্রা নিযন্ত্রন করে
শরীরের তাপমাত্রার যে প্রভাব ঘটে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলার ফলে তা নিয়ন্ত্রন করে। শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে শরীরে এক ধরনের ছটফটানি অনুভূতি হয় যা চরম অসস্তি কর। তাই টিউবওয়েলের ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরে মধ্যে থাকা তাপ কুমিয়ে দেয় ফলে শরীর সতেজ মনে হয়া
ত্বকের সুরক্ষা প্রদানে
ঠান্ডা পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করলে ত্বক সুস্থ থাকে। শরীরে মধ্যে জমানো অজানা ব্যাক্টিরিয়া ধ্বংস করে। অতিরিক্ত তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রন করে। ঠান্ডা পানি ত্বককে নরম রাখে এবং কোমলতা ধরে রাকে। ঠান্ডা পানি যেমন শরীরে সুরক্ষা প্রদান করে ঠিক শাওয়ার জেল দিয়ে গোসল করলে উপকারিতা পাওয়া যায়।
মানসিক অবসাদ দূর করে
যে সকল ব্যাক্তি মানসিক টেনশনে আছেন এবং শরীরকে দূর্বল মনে হচ্ছে সেই সকল ব্যাক্তি টিউবওয়েলের বা মটরের ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে মানসিক চিন্তা দূর হবে এবং নিজেকে সতেজ ফুর ফুরে মনে হবে। আপনা আপনি এক ধরনের আনন্দের অনুভূতি সৃষ্টি হবে।
শ্বাস কষ্টে উপকারিতা প্রদান
যে সকল ব্যাক্তিরা শ্বাসকষ্টে ভূগছেন তারা নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে তাদের শ্বাস কষ্ট দূল হবে। ঠান্ডা পানি মাথায় দিলে জ্বর দূর হয়। স্কেরিয়াসি রোগের জন্যও ঠান্ডা পানি উপকারে আসে।
ফুস ফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
যারা নিয়মিত পুকুরে বা নদীতে গোসল করে তাদের ফুস ফুস এর কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারন পানিতে নিজের পুরো শরীরকে ডুবিয়ে রাখলে ফুস ফুস শ্বাস নেওয়ার জন্য তদপর হয়ে উঠে ফলে পানির মধ্যে অক্সিজেন না পাওয়াই তখন ফুসফুস তার কার্যকারিতা বাড়ানোর চেষ্টা করে। এত ফুস ফুস ভাল থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে ঠান্ডা পানি
ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে রক্তচাপ নিযন্ত্রনে রাখে। রক্তচাপ সাভাবিক থাকলে হৃদরোগও নিয়ন্ত্রনে থাকে। ঠান্ডা পানি শরীরের রক্ত চাপকে সাভাবিক রাখতে সহায়তা প্রদান করে।
ওজন কমাতে ঠান্ডা পানির ভুমিকা
কি আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না? নিয়মিত ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে পেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে। বিনা খরচে ওজন কমানোর জন্য একটি ভাল পন্থা।
গোসলে স্বাস্তকর পরামর্শ
ঠান্ডা পানি মানসিক এবং দৈহিক দুটি কাজেই উপকার করে থাকে। নিজেকে নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করাতে অভ্যাস করতে হবে। ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শরীর শ্বাস্থ ভাল থাকবে। মনও ভাল থাকে এবং নিয়মিত ঘুম ভাল হয়।
পেশির ব্যাথা নিরাময়ে
যে ব্যাক্তি নিয়মিত ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে তার পেশির ব্যাথা হয় না। কারন ঠান্ডা পানি শরীরের উপর পড়লে শরীরে পেশি সংকুচিত এবং প্রসারিত হয় ফলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এই রক্ত চলাচলে পেশির ব্যাথা দূর হয়।
উপসংহার
উপরের বর্ণনা থেকে বোঝা গেল যে ঠান্ডা পানি আমাদের অনেক উপকারে আসে। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক নিম পাতা দয়ে গোসল করলেও উপকারিতা রয়েছে। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
পুকুরে বা নদীতে গোসল করা উত্তম। পুকুর বা নদীতে গোসল করলে মন ফুর ফুরে থাকে। শরীরের অঙ্গ পতঙ্গের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।
কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: দিনে কত বার গোসল করা উচিত?
উত্তর: আপনে দিনে কত বার গোসল করবেন এমন কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। তবে প্রতিদিন এক বার গোসল করা যায়। যাদের শরীর অতিরিক্ত ঘামে বা ময়লা জমে তারা তাদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে গোসল দিতে পারে।
প্রশ্ন: প্রতিদিন গোসল করা কি ফরজ?
উত্তর: প্রতিদিন গোসল করা ফরজ নয়। তবে পবিত্র তার জন্য আপনার নিজের প্রয়োজনে প্রতিদিন গোসল বরা যেতে পারে।